রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করতে সম্মত মিয়ানমার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করতে সম্মত মিয়ানমার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে ইউএনএইচসিআর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে সম্মতি জানিয়েছে মিয়ানমার।

 

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সেমিনার শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

 

এছাড়া ঢাকায় আসন্ন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রাধান্য পাবে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তাড়াহুড়ো না করে পুরো সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথমবারের মতো ঢাকায় ওআইসির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সম্মেলন হতে যাচ্ছে।

 

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ধীর হলেও সরকার লক্ষ্যে অবিচল আছে বলে জানিয়ে শাহরিয়ার বলেন, এ লক্ষ্যে মিয়ানমার সরকারকে দেয়া রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক তালিকার তথ্যে ঘাটতি আছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তাই শিগগিরই তাদেরকে দ্বিতীয় দফা আরেকটি তালিকা দেয়া হবে।

 

গত বছরের আগস্ট মাসে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা এখন সাড়ে ৭ লক্ষাধিক। গত বছরের ২৩ নভেম্বর দেশটির রাজধানীতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এ বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। তবে এখনো শুরু হয়নি প্রত্যাবাসন।

 

 

রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার কবে থেকে কাজ শুরু করবে, এর জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি মিয়ানমারের বিষয়। আমার পক্ষে বলা সম্ভব না।

 

তিনি বলেন, দুই মাস আগে আমাদের দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জেমেন্ট সই হয়েছে। তবে এখনো রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠনো যায়নি। এজন্য আমরা বিচলিতও নই। বরং তড়িঘড়ি করে রোহিঙ্গাদের পাঠিয়ে দিলে সমস্যা হতে পারে।

 

শুরু থেকেই বাংলাদেশ এ প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে। তবে তাতে রাজি ছিলো না মিয়ানমার সরকার। সম্প্রতি তারা সে অবস্থান থেকে সরে এসেছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অগ্রগতি ধীরে হলেও, আমরা ঠিক পথে আছি। প্রসেসটা ঠিক পথে আছে। মানবিক কারণে আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment